আতিকুর রহমান , গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি না এলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার সুযোগ থাকবে না।
১৯ মে শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, হেরে গেলেই বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। কারচুপি, সুষ্ঠু নির্বাচন এসব ভাঙ্গা রেকর্ড তারা বাজায়। তারা না এলেও নির্বাচন হবে।
কাদের বলেন, ‘সরকার গঠন হবে, পার্লামেন্ট বসবে এবং যথারীতি নির্বাচন হবে। তবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ট্র্যাপে ফেলবে, সেটা অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কাজেই এই আশা, তাদের এই খোয়াবের পুনরাবৃত্তি আর বাংলাদেশে হবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি আসলে আসবে, না আসলেও অন্যরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার সুযোগ আর থাকবে না।’
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন সড়ক বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন, ঈদের তিনদিন আগে থেকে মহাসড়কে সব রকমের ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান চলাচল নিষেধ। তবে পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
এ সময় কাদের আরো বলেন, আগামী ৮ জুনের মধ্যে রাস্তার সব ধরনের মেরামতের কাজ শেষ করে সেটি সচল রাখার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রার চার লেন তৈরির কাজও জুনের ৮ তারিখের মধ্যে শেষ হবে।
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় চার লেনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, সাসেক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইসহাক এবং সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ