লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
রমজানে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ওষুধ খানিকটা সমন্বয় করতে হতে পারে। ইফতার ও সেহেরির সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে রোজাদারগণের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর। যে সব খাবার দীর্ঘ সময় লাগে হজম হতে যেমন: আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি। পাশাপাশি সেহেরির সময় থাকতে হবে মাছ-মাংসসহ খানিকটা প্রোটিন বা আমিষ। মনে রাখতে হবে যাদের সুগার সমস্যা আছে অথবা ডায়াবেটিসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা ব্লাড সুগার বর্ডার লাইনে তাদের অবশ্যই চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
বিশেষ করে নানা ধরনের প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়ে অনেকে ইফতারিতে অধিক চিনিযুক্ত শরবত ও ভিটামিন সি জাতীয় পানীয় পান করে থাকেন। সুগার সমস্যা আছে অথবা যারা রমজানে ইফতারিতে সুগার পরিহার করতে চান তাদের জন্য একাধিক ওষুধ কোম্পানির সুগার ফ্রি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শরবত পাওয়া যায়। এটা ট্যাবলেট ও পাউডার আকারে পাওয়া যায়। যেমন: একটা সুগার ফ্রি ক্যাভিক সি ট্যাবলেট এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে শরবত তৈরি করতে পারেন। এধরনের শরবত উপাদেয় ও পুষ্টিকর। তবে যাদের সুগার সমস্যা নেই তারা যদি বাজারে পাওয়া শরবত দিয়ে ইফতারি করতে চান তবে অবশ্যই দেখে নেবেন উৎপাদক কোম্পানিটি ভালো মানের কিনা।
বিশেষ করে রমজান আসলে বিভিন্ন নিম্নমানের কোম্পানি নানা চটকদার নাম দিয়ে শরবত তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। মাত্র ২/১টি কোম্পানি ছাড়া এসব শরবতে ফলের রসের কোনো নাম-গন্ধও থাকে না। চিনি ও নানা ধরনের ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব শরবত। এতে পেটের পীড়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারিতে কি ধরনের শরবত পান করবেন তা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। তবে ঘরে বসেই লেবুর রসের শরবতও তৈরি করতে পারেন। এছাড়া ইফতারিতে বাইরের খাবার পরিহার করার চেষ্টা করা ভালো।
ইফতারিতে অধিক ভাজা-পোড়া খাবার আহার করা উচিত নয়। পাশাপাশি যারা হালকা ইফতারির পর রাতের খাবার বা ডিনার করতে চান তাদের তারাবির পর ডিনার করা উচিত। কারণ অধিক আহারের পর তারাবির নামাজ আদায় করা অনেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর। তবে যারা ইফতার ও ডিনার এক সঙ্গে সেরে ফেলেন তাদের উচিত হালকা ইফতার শেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করা এবং নামাজ শেষে ডিনার করা। তাহলে ডিনার ও তারাবির মাঝে খানিকটা বিরতি পাওয়া যাবে। এটা স্বাস্থ্যের জন্যও হিতকর।