পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
কুয়াকাটা সৈকতে ৪৫ ফুট লম্বা একটি মৃত তিমি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ভোর রাতের দিকে কুয়াকাটা সৈকতে মৃত তিমিটি ভেসে আসে।
কুয়াকাটা ঝাউবন এলাকার সৈকতে শনিবার ভোরে প্রথমে পর্যটকদের নজরে এলে মুহুর্তে খবরটি ছড়িয়ে যায়। এরপর অন্য পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন মাছটিকে একনজর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ১৫দিন আগে গভীর সমুদ্রে তিমিটি মারা গিয়েছিল।
সামুদ্রীক জীববৈচিত্র সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটির মেরিন এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং কোর্ডিনেটর ফারহানা আখতার কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা তিমিটি প্রসঙ্গে বলেন, এটি ব্রিডিস তিমি বা বেলিন তিমি। এদের দাঁত থাকেনা, এর বদলে ছাঁকনির মত অংশ থাকে। যার মাধ্যমে এরা পানি থেকে ছোট ছোট মাছ ও চিংড়িজাতীয় প্রাণি খেয়ে বাঁচে।
এরা সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মত লম্বা হয়ে থাকে। ধূসর বর্ণের এই তিমির মাথা খাটো ও চওড়া এবং মাথায় তিনটি সমান্তরাল খাঁজ থাকে, যা দিয়ে সহজেই এদের আলাদা করা যায়। এরা সাধারণত ১২ বছর বয়স থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে পারে।
বাংলাদেশের জল সীমানায় সোয়াচ-অব-নো গ্রাউন্ড এলাকায় এদেরকে সচরাচর দেখা যায়। এখনও এদের বিষয়ে অনেক গবেষণা চলছে বলেও জানান ফারহানা আখতার।
এদিকে, কুয়াকাটা সৈকতে পাওয়া তিমিটি পর্যটকদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠেছে।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে পাওয়া তিমিটির অন্তত কঙ্কালটি হলেও পর্যটকদের জন্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এটি এখন আর আমাদের দায়-দায়িত্বের মধ্যে নেই। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর রহমান বলেন, আমরা একটি মৃত তিমি উদ্ধারের খবর পেয়েছি এবং এটিকে পর্যটকদের জন্য কোনভাবে সংরক্ষণ করা যায় কি-না সেটি দেখছি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ