বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের গুণী অভিনেত্রী শ্রীদেবী ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হোটেলে অনেকটাই রহস্যজনকভাবে মারা যান। তার মৃত্যু নিয়ে ইতোমধ্যে নানা ধরনের আলোচনা তৈরি হয়েছে। মৃত্যুটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। প্রথমে শোনা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হোটেলের বাথটাবের পানিতে ডুবে মারা যান শ্রীদেবী। পরে দুবাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, হৃদরোগে নয় দুর্ঘটনাবশত বাথটাবের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তার। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসিপি বেদ ভূষণ।
শ্রীদেবীকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বেদ বলেন, কাউকে চাইলেই তো জোর করে বাথটাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া যায়। পানিতে ডুবিয়ে রেখে তার নিঃশ্বাস বন্ধ করে তাকে হত্যা করা সম্ভব। এতে করে কোনো প্রমাণ ছাড়াই একজন মানুষকে মেরে ফেলা যায়। শ্রীদেবীকেও পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে বেদ ভূষণ শ্রীদেবীর মৃত্য নিয়ে দুবাই পুলিশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বিষয়ে জানান, আরব আমিরাতের আইন ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। কিন্তু তারা শ্রীদেবীর ময়নাতদন্তের যে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন সেটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। ঠিক কি হয়েছিলো তার সঙ্গে আমরা সেটি জানতে চাই। এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি রয়েছে। আমরা দুবাই যাবো এবং সবকিছু পুনরায় তদন্ত করবো। শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য তিনি দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার্সে গিয়েছিলেন। কিন্তু হোটেলের ওই ঘরে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি পাশের ঘর থেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, শ্রীদেবীর মৃত্যু পরিকল্পিত’।
এর আগে, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী সুনীল সিংও। তিনি বলেছিলেন, ৫.৭ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একজন কী করে ৫.১ লম্বা বাথটাবে ডুবে যাবেন!
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ