বিনোদন ডেস্ক:
প্রখ্যাত সঙ্গীতকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। পরে এই সাক্ষীর কারণে তার ছোট ভাই মিরাজ খুন হয়। বর্তমানে ২৪ ঘন্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী আছেন, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এই ঘটনাকে এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায় বলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গুণী এই সঙ্গীত পরিচালক।
এরপরই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় ৭০০ বার শেয়ার হয় লেখাটি। দেশ জনতা অনলাইন পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল,
সরকার এর নির্দেশেই ২০১২ তে আমাকে যুদ্ধ অপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সাথে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পুর্ন ইতিহাস। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসাথে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।
কিন্তু, এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোটো ভাই “মিরাজ” হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনওই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘন্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।
একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্য ভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে ৮ টা ব্লক ধরা পড়েছে, এবং Bypass Surgery ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না।
তিনি আরও লিখেন, “এরই মাঝে কাউকে না জানিয়ে আমি “ইব্রাহিম কার্ডিয়াক” এ CCU তে চারদিন ভর্তি ছিলাম, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের Bypass Surgery করাতে প্রস্তুত রয়েছি। আমার কোনো সরকারী সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু বান্ধব সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট। তোমরা আমার জন্যে শুধু দোয়া করবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ