খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ৩১টি ওয়ার্ডে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরামহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন শহরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মেয়র পদপ্রার্থীসহ এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯১ জন প্রার্থী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার পরপরই নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের পাওনিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। খুলনা সিটি নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীক। ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু আর নৌকা প্রতীকে তালুকদার আবদুল খালেক।
নির্বাচনের আগের রাতে খুলনা নগরীর চেহারা ছিল অস্বাভাবিক। আপাতত শান্ত শহরে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। শহরজুড়ে চলছে পুলিশি টহল। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় ছিল পুলিশি নজরদারি। মেয়র পদে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেছেন তারা। ভোট ডাকাতি করা হবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। অপর দিকে তালুকদার আবদুল খালেক সুষ্ঠু ভোট হবে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, ভোট সুষ্ঠু হবে। যে পক্ষ যা-ই বলুক না কেন, ভোট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন।
প্রশাসন ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নির্বাচন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: ইউনুচ আলী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। গতকাল থেকে মাঠে নেমেছে বিজিবি। পাশাপাশি আছে র্যবের ৩২টি টহল টিম এবং চারটি স্টাইকিং ফোর্স। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা কেন্দ্রভিত্তিক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে দায়িত্বে রয়েছেন।
নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ৪ হাজার ৯৭২ জন। দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি