২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৩৬

সরকার ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে ফল অনুকূলে নিতে চায় : মঞ্জু

মারুফ শরীফ. নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, সরকার ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনের ফল অনুকূলে নেয়ার অপচেষ্টা করছে।
আজ সোমবার খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে অবস্থিত বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কেসিসির বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের ফলকে নিজেদের অনুকূলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকারি দল। সে জন্য তারা নানা কৌশল নিচ্ছে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, রাতের আঁধারে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী-সন্ত্রাসীরা ভোটের দিন সকাল থেকে দৌড়-ঝাঁপ করে করে সাধারণ মানুষের মনে ভয়-আতঙ্ক ছড়াবে। অন্যরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসে সিল মারবে। ভোটের দিন মাঠ খালি রাখতে আজ রাত থেকে ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালাবে বলেও তাঁর কাছে খবর থাকার দাবি করেন মঞ্জু।
বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু আরো বলেন, এখন পর্যন্ত গণগ্রেফতার থামছে না। গত রাতেও ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাইরে গত এক সপ্তাহে আড়াই’শ নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে বাণিজ্য করেছে পুলিশ। খালিশপুরে ছেলের জন্য বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজের স্ত্রী, ভাই ও শ্যালকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করারও অভিযোগ করেন মঞ্জু।
মঞ্জু বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মনে হয়েছে আমরা সফল। খুলনার মানুষ ও ভোটাররা ইশারা-ইঙ্গিতে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি জনগণ বিএনপির পাশে আছেন। গত ১৫ দিনে দলীয় কর্মীদের ওপর ‘সিডর, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। তারপরও বিএনপির নেতা কর্মীরা মাঠ ছাড়েনি। সরকার ও পুলিশের ভূমিকাকে দানবীয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
নানা নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মঞ্জু বলেন, যা কিছুই হোক, আমরা মাঠে থাকব। আওয়ামী লীগের রাজনীতির হিংস্র চেহারা জনগণ ও দেশবাসীকে দেখাতে চাই। আওয়ামী লীগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, সেটাও জনগণের কাছে প্রমাণ করে দিতে চাই।
বিএনপি প্রার্থী মঞ্জু বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পুলিশের এমন ন্যক্কারজনক আচরণ কখনোই দেখিনি।
তিনি বলেন, গতকাল খালিশপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একটি এলাকায় ঢুকতে পারিনি। সেখানে চাপাতি, চায়নিজ কুড়ালসহ মোটরসাইকেল মহড়া হয়েছে। পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ১২ মে রাতের পর বহিরাগতদের শহর ছাড়ার জন্য পুলিশী নির্দেশ থাকলেও এখনো অনেকে শহরে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোনো অ্যাকশন নেই।
নিজেকে রাজপথের কর্মী উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, খালেক সাহেব মন্ত্রী ছিলেন, এমপি ছিলেন, মেয়র ছিলেন। রাজপথের একজন কর্মীর কাছে হারের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে না পারায় কর্মীদের ওপর হামলা নির্যাতন চালাচ্ছেন। এখানেই খালেক সাহেবের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে।
ভোটের দিন সকাল থেকেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্র আসা এবং শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহ্বান জানান মঞ্জু।
সকাল থেকে দলের নির্বাচনী এজেন্টরা ভোটকেন্দ্র থাকবেন উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, তালিকায় অনেক ওলট-পালট হয়ে গেছে পুলিশের কারণে। তারপরও আমরা মাঠে থাকব।

দৈনিক দেশজনতা/ এন আর

প্রকাশ :মে ১৪, ২০১৮ ১০:১৯ অপরাহ্ণ