মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের ৫ হাজার ২০০ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছেন। গত পাঁচ মাস যাবৎ বিনা বেতনেও তারা তাদের শিক্ষকতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশন-এর নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ঠেকাতে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায় ২ হাজার ১০০ প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ২০০ এসিটি নিয়োগ দেয় সরকার। অতিরিক্ত শ্রেণি-শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানভীতি দূর করতে সক্ষম হন। নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি ১৬ থেকে ২০টি ক্লাস নেন এই শিক্ষকেরা। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গত ৫ মাসে তা সম্প্রসারণ করা হয়নি। অথচ নিয়োগপত্রে বলা ছিল প্রকল্প সম্প্রসারণ অথবা এমপিওভুক্ত করে চাকরি অব্যাহত রাখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এসিটিদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্প প্রধান ও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ক্লাস চালিয়ে যান, ভালো খবর আসবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এসিটিরা।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, এসিটি মো. শহিদুল ইসলাম, রাফিউর রাফি, আবু রায়হান ও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন। এ সময় শতাধিক এসিটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর