নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীতে নির্বাচিত হতে পারলে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি। তবে এটাকে ১০ শতাংশে উন্নীত করে জেলায় জেলায় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইসতেহারেও এটা উল্লেখ থাকবে। আগামী ৫ বছরে (২০২৩ সালের মধ্যে) আমরা জেলায় জেলায় সরকার প্রতিষ্ঠা করব। তবে একটা কেন্দ্রীয় সরকারও থাকবে।
আজ রবিবার জাতীয় জাদুঘরে এ.কে মোমেন রচিত বাংলাদেশ স্বাধীনতার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক কামরুল আহসান বুলবুল, লেখক ও গবেষক মফিদুল হোসেন প্রমুখ।
এসময় তিনি বলেন, দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বজায় রাখতে জেলা ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।আমি প্রতিজ্ঞা করছি আগামীতে নির্বাচিত হলে অবশ্যই আমরা প্রত্যেকটি জেলায় জেলাভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব। এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্যের অবসান ঘটবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে এখন যে বাজেট প্রণয়ন করা হয় তা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের বাজেট অতি নগন্য। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশের বাজেট খুবই ক্ষুদ্র আকারের। তবে আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দারিদ্রতা নিশ্চিহ্ন করা যাবে বলে আশা করা যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বইটিতে দেশের অর্থনীতি, দেশের প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন সম্পর্কে সুপরিকল্পিত মতামত ব্যক্ত করা আছে। বইটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এই বইয়ের মাধ্যমে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু এবং এই বইয়ের লেখক এ কে মোমেনের চিন্তা ভাবনার মধ্যে মিল রয়েছে। কারণ তিনিও চাইতেন বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগণের উন্নয়ন হোক আর দেশের সকল জনগণের উন্নয়নের জন্য শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। লেখকও তাই মনে করেন। যা এই বইটি পড়ে বোঝা যায়।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর