স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট যে দলের সিনিয়রদের কথায় বল বিকৃত করতে বাধ্য হয়েছিলেন, এই সত্যিটা বলতে দ্বিধা নেই অস্ট্রেলিয়ার নতুন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। ওই জায়গায় তিনি থাকলেও একই কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন ল্যাঙ্গার।
প্রাক্তন কোচ ড্যারেন লেম্যানও যে রকম সোজাসাপ্টা কথা বলতেন, ল্যাঙ্গারের পছন্দও বোধহয় একই রকমের। শুক্রবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলে দেন, ‘‘অ্যালান বর্ডার যদি আমাকে বল বিকৃত করার নির্দেশ দিতেন, তা হলে আমাকে তা করতেই হত।’’ ৪৭ বছর বয়সি ল্যাঙ্গার বল-বিকৃতি কাণ্ডে তরুণ ওপেনারের চেয়ে দলের সিনিয়রদেরই বেশি দোষ দেন। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে ব্যানক্রফ্টের চেয়ে কড়া শাস্তি দিয়েছে।
এই নিয়ে ল্যাঙ্গার আরও বলেন, ‘‘আমাকে অধিনায়ক এই কাজটা করতে বললে আমি তা না করতেই বরং বেশি ভয় পেতাম। কিন্তু বর্ডার থাকলে এই নির্দেশ দিতেনই না। আর ববি সিম্পসন তো আমাকে মেরেই ফেলতেন। শুধু আমি কেন, দলের যে কেউ যদি ক্রিকেটকে বদনাম করার চেষ্টা করত, তাকেই খুন করতেন তিনি। ব্যানক্রফ্টকে এমন একটা কাজ করতে হল দেখেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি।’’
জীবনের অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা ২৫ বছর বয়সি ব্যানক্রফ্ট এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে ন’মাসের নির্বাসন দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ ও ওয়ার্নারদের নির্দেশে তিনি এই জঘন্য কাজ করেছিলেন বলে তাঁদের এক বছর নির্বাসিত করা হয়েছে।
বর্ডার, স্টিভ ওয়-র দলে খেলা ল্যাঙ্গার বলেন, ‘‘বর্ডার, ওয়, ডেভিড বুন, ইয়ান হিলি, সিম্পসনরা যে দল চালাতেন, সেই দলের ড্রেসিংরুম আমাদের ভাল ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি ভাল মানুষও বানিয়েছে।’’ তবে স্মিথ, ওয়ার্নারদের ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ার পক্ষপাতি নন ল্যাঙ্গার। স্মিথরা যদি সুস্থ মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেটে ফিরতে চান, তা হলে তাঁদের অবশ্যই সাহায্য করতে প্রস্তুত তিনি। অস্ট্রেলিয়ার কোচ বলেন, ‘‘আমরা যদি ওদের সাহায্য করি আর ওরা যদি সত্যিকারের অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের মতো মানসিকতা নিয়ে ফিরে আসতে চায়, তা হলে অবশ্যই ওদের স্বাগত জানানো উচিত।’’
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ