স্পোর্টস ডেস্ক:
জন ম্যাকেনরোর ৩৪ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পরের দিনই ধাক্কা খেলেন রাফায়েল নাদাল। বৃহস্পতিবার ম্যাকেনরোর রেকর্ড ভাঙার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাদ্রিদ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে দমিনিক থিমের কাছে হারলেন নাদাল। একই সঙ্গে খোয়ালেন র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান। যা ফের চলে গেল রজার ফেদেরারের দখলে। ম্যাচের ফল ৭-৫, ৬-৩।
ক্লে কোর্টে শেষ বার থিমের কাছেই হেরেছিলেন নাদাল। হেরে গিয়ে বলছেন, ‘‘ফোরহ্যান্ড বা ব্যাকহ্যান্ড আজ কিছুই ঠিকঠাক কাজ করেনি। তাই হারতে হল।’’
ম্যাকেনরো এক সময় ক্লে কোর্টে টানা ৪৯টি সেট জেতার অনন্য নজির গড়েছিলেন। এত দিন পরে স্পেনীয় মহাতারকা ছাপিয়ে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি ম্যাকেনরোকে। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি সরাসরি সেটে হারিয়ে দেন আর্জেন্তিনার খেলোয়াড় দিয়েগো জোয়াৎজ্ম্যানকে। নাদালের পক্ষে ফল ৬-৩, ৬-৪। যার মানে দাঁড়াল নাদাল ক্লে কোর্টে টানা ৫০টি সেট জেতার নতুন নজির গড়লেন।
১৯৮৪ সালে ক্লে কোর্টে টানা সাফল্যের সময় ম্যাকেনরো মাদ্রিদ ওপেনেও জিতেছিলেন। বৃহস্পতিবার খেলতে নামার আগে নাদাল বলেছিলেন যে ম্যাকেনরোর কৃতিত্বকে তিনি যথেষ্ট সম্মান দেন। কিন্তু অন্য কারণে এই নজির ভাঙতে পারলে বেশি খুশি হবেন। কী কারণ? নাদাল বলেন, ‘‘আসলে এই যে টানা এতদিন ধরে জিতছি তার মানে একটাই। আমার খেলা ঠিক আছে। তাই ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে যাচ্ছি গত এক বছর ধরে। এটাই আমার কাছে সেরা প্রাপ্তি।’’
এই ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে বলা যায় যে নাদাল এর আগে বার্সেলোনা ও মন্টি কার্লো ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সেইসঙ্গে গত বছর ফরাসি ওপেনেও। রজার ফেদেরার এই মরসুমে ক্লে কোর্টে কোনও প্রতিযোগিতাতেই খেলছেন না। যা নিয়ে সম্প্রতি নাদাল মন্তব্য করেন, ‘‘আসলে ক্লে কোর্টে আমার বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পায় রজার।’’ নাদালের রসিকতা নিয়ে ফেদেরারে জবাবটা কিন্তু বেশ গম্ভীর। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাফার বয়স আমার থেকে অনেক কম। ও এই বয়সে যেটা পারে সেটা ছত্রিশে পা রেখে আমার পক্ষে করা অসম্ভব। মনে হয় আমার বয়সে রাফাও একই কথা ভাববে। তা ছাড়া ক্লে কোর্টে খেলতে কোনও কালেই আমার ভাল লাগে না। বরং ঘাসে আমি চিরকালই বেশি স্বচ্ছন্দ।’’
বৃহস্পতিবার নাদাল যাঁকে হারালেন সেই জোয়াৎজ্ম্যান এখন বিশ্ব ক্রমতালিকায় স্থান ১৬ নম্বরে। নাদালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেটে ৪-৩ এগিয়ে যাওয়া ছাড়া প্রতিরোধই গড়তে পারেননি তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ