বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
রোলস রয়েস প্রথমবারের মতো বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল)। রোলস রয়েস কালিনান নামক এই গাড়িটি দুই ফুট গভীর পানি দিয়ে চলাচল করতে পারবে। খবর সিএনএনএর।
অতি সম্প্রতি আকর্ষণীয় এই রোলস রয়েসটি লন্ডনের বাজারে উন্মোচন করা হয়েছে।ব্রিটিশ এই বিলাসবহুল গাড়িনির্মাতা কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো এরকম একটি এসইউভি(স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকেল) বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে।
এই গাড়িটি ২১ ইঞ্চি পানির মধ্য দিয়ে যেতে পারবে, এমনকি গভীর বরফ আছে এবং মরুভূমি এইরকম সব ধরনের জায়গা খুব সহজেই অতিক্রম করা যাবে গাড়িটি দিয়ে। গাড়িটির মধ্যে একটি বিল্ট ইন রেফ্রিজারেটর আছে যার মাধ্যমে আরোহীরা চাইলে দীর্ঘ রাস্তার ক্লান্তি এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝেই শ্যাম্পেনের চুমুক দিতে পারবেন।
রোলস রয়েসের শত বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। ঝুঁকিময় ও অনিরাপদ ও উচুনিচু রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য অনেক আগে থেকেই কোম্পানিটি বিশ্বখ্যাত। লরেন্স অব অ্যারাবিয়া সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছিল রোলস রয়েস গাড়িটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রোলস রয়েসের গাড়ি শিকারী গাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।সাম্প্রতিক সময়গুলোতে রোলস রয়েসের গাড়ি ফ্যান্টম, র্যাথ অথবা ডন এই মডেলের গাড়িগুলো আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য গ্রাহকের কাছে বেশ লোভনীয় পছন্দ হয়ে উঠেছে।সারা পৃথিবীতেই ফোর হুইল ড্রাইভ এসইউভি এর জনপ্রিয়তার কারণেই রোলস রয়েসের মতো বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিকে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল ঘরানার এইসব গাড়ি নির্মাণ করতে হয়েছে।
শুধু রোলস রয়েসই নয়, এমনকি বেন্টলি এবং ল্যাম্বরঘিনির মতো গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিও বাজারে ছেড়েছে একই ধরনের গাড়ি। ফেরারি এই ধরনের গাড়ি বাজারে আনার কথা চিন্তা করছে।রোলস রয়েস কালিনান নামক এই এসইউভিটিতে আছে ২২ ইঞ্চি হুইল। হুইলের এই আকৃতির মাধ্যমে গাড়িটি বড় হওয়া সত্ত্বেও রোলস রয়েসের ক্ল্যাসিক ঢং বজায় রেখেছে।গাড়িটিতে আরোহীর সর্বোচ্চ আরামের জন্য সকল সুবিধা রাখা হয়েছে। একটি ঐচ্ছিক কাচের পার্টিশনের মাধ্যমে ড্রাইভারের সিট থেকে কার্গো কমপার্টমেন্টকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে গাড়ির পেছনে আরোহীরা লাগেজ, শিল্পকর্ম অথবা যাই বহন করা হোক না কেন, সেগুলোকে বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা করেবে।কার্গো কমপার্টমেন্টটি খুবই নমনীয়। এর মধ্যে এইটি সরানো যায় এরকম পার্সেল শেলফ আছে। একটি ইলেকট্রিক মটরসের মাধ্যমে কার্গো কমপার্টমেন্টের ফ্লোরটি উপরে তোলা যায়, নিচে ও নামানো যায়। গাড়ির পেছনের আসনগুলো ভাঁজ করে রাখা যায়। এই প্রথম রোলস রয়েসে ভাঁজ করা আসন দেখা গেলো।
গাড়িটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার নামে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি যে অপ্রচলিত, উচুনিচু, বন্ধুর পথ দিয়ে যে এটা চলতে পারে সেটার ইঙ্গিত করা হয়েছে। গাড়িটির মূল দাম ধরা হয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ডলার। তবে দুই একটি অতিরিক্ত সংযোজনে এটির খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৪ লাখ ডলার। রোলস রয়েস কর্তৃপক্ষ আশা করছেন যে, কালিনান আরোহীদের জাদুর কার্পেটের মতো অনুভূতি দেবে উচুনিচু রাস্তায়ও।চলতি বছরের শেষ দিকে গাড়িটি বাজারজাত করা হবে বলে জানা গেছে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ