ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী। গতকাল সোমবার তাঁদের আটক করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর আজ মঙ্গলবার পুলিশ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে। দুই রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে বাংলাদেশি এক দালালকেও আটক করা হয়।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে এক নারী ও এক পুরুষ আটক হন। পরে পুলিশ তাঁদের কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ফেরত পাঠায়।
গতকাল আটককৃত দুই রোহিঙ্গা নারী হলেন সালমা খাতুন (২৬) ও রমিছা বেগম (৩০)। তাঁদের সঙ্গে আটক হওয়া দালালের নাম সাবিকুন্নাহার। তাঁর বাড়ি রংপুর জেলায়।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে সালমা ও রমিছা নিজেদের পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন।
পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, ‘দুই নারীর আচরণে সন্দেহ হলে আমি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
দুই নারী নিজেদের বিবাহিত বলে পরিচয় দিলেও তাঁরা নিজেদের স্বামীর নাম বলতে পারেননি। পরে উপপরিচালক ওই দুই নারীর মাধ্যমে দালাল সাবিকুন্নাহারকে ধরে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই নারীরা স্বীকার করেন যে তাঁরা রোহিঙ্গা।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, দুই রোহিঙ্গা নারীকে কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে। দালাল সাবিকুন্নাহারের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ