গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রোববারের ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইজাদুর রহমান, ভাওয়াল মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসুল্লী, হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিনসহ ১০৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দেড়শ’ জনকে আসামী করা হয়েছে।
টঙ্গী মডেল থানার এসআই আল আমিন বাদি হয়ে টঙ্গী মডেল থানায় সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ আদালতের আদেশে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন গত রোববার স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ স্থগিতাদেশ ঘোষণার পর বিকেলে টঙ্গী চেরাগ আলীর পাইলট মার্কেটের পাশে স্টার ওভেন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় নাশকতামূলক কাজের মাধ্যমে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা জননিরাপত্তা বিপন্ন, নাশকতা সৃষ্টি করেছিল।
এসময় তারা রাস্তায় কিছু গাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে দায়ের করা মামলায় ওই ১২ জনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বিএনপির দলীয় প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, কোনো ভাংচুর, রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন স্থগিত নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ করে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে তাদের আটক করে পুলিশ।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারনেই তারা নানাভাবে তাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
টঙ্গীর মডেল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতে নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ