নাগরিক ঐক্যের অাহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, গাজীপুরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন জিততে পারবে না জেনে ইলেকশন স্থগিত করে দিয়েছে সরকার ।নিজেদের ভরাডুবি দেখে চার মাসে দুইবার ঢাকার পর এবার গাজীপুরে নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে অাওয়ামী লীগ সরকার।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) অায়োজিত “স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও অামাদের গণমাধ্যম ” শীর্ষক অালোচনা সভায় মান্না এসব কথা বলেন।
তবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বন্ধ হওয়ার সঠিক কারণ গণমাধ্যমে বা সংবাদপত্রে লেখা সম্ভব না উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বাংলাদেশে কোন বিবেচনায় এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলে এর সিটি নির্বাচন বন্ধ হওয়ার সঠিক কারণ লেখা বা প্রকাশ করা সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা জিততে পারবে না। তাই তারা নির্বাচন বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শুধু তাই নয় তারা বিএনপির সিনিয়র নেতাকে আটক করেছিলো কোন কারণ ছাড়াই। তাকে সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে রেখে আবার ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর এসব বিষয় লিখলে সাংবাদিকদের জন্য অপরাধমূলক আইন রয়েছে। কিন্তু তারা নির্যাতিত হলো তাদের জন্য কোন আইন নেই। এটি অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা জোর করে কাউকে নির্বাচনে আনতে পারবো না। আমি বলি, জোর কেন করতে হবে? যে বাধাগুলো আপনারা সৃষ্টি করছেন সেগুলো সরিয়ে রাখলেই হবে। কেননা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।
ক্ষমতায় যেই থাকুক কেউই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় বিএনপি আসুক আর আওয়ামী লীগ আসুক কেউই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না। কেননা এতে জবাবদিহিতার সৃষ্টি হবে। গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা না দিলে এদেশের নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ততার কোনো উন্নয়ন হবে না। এ কারণেই তথ্য পাওয়া একটি অধিকার। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি দেশ নাকি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাহলে ঢাকায় বসে জলাবদ্ধতার মাধ্যমে কেন নদী আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব হবে?
এছাড়া মফস্বল এলাকার সাংবাদিকরা বেতন না পেয়ে ও নির্যাতনের শিকার হয়। তারা বেশি ঝুঁকি নিয়েই সাংবাদিকতার মতো মহান পেশার সঙ্গে সংযুক্ত বলে তাদের দাবি সরকারের মেনে নেয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত মফস্বল সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। সরকার কর্তৃক সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন ও আইডি নম্বর প্রদান, দ্রুত সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, ৩২ ধারা সংশোধন, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের যুগোপযোগী আইন প্রণয়নসহ এই ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।