নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং ভোটের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি তো এমনিতে সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রচারণার জন্য বাইরের লোক গেলে গ্রেফতার করা হবে। নির্বাচনের কোন বিধিতে এটা আছে? নির্বাচনী আইনে আছে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বহিরাগতরা থাকতে পারবে না।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা বসেন, কথা বলেন।আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধান করে নির্বাচন দিন। সংকট সমাধান করেন। এটা না করে যদি নির্বাচনে যান, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না।
‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিত হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সেনাবাহীনী মোতায়েন করতে হবে।’
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস -২০১৮ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ)।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকরা যদি এক হয়ে বলে লেখার স্বাধীনতা খর্ব করা চলবে না, তাহলে সরকার পড়ে যাবে। কারণ তারা সত্য কথার সামনে টিকে থাকতে পারবে না। আজকে স্বাধীন গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শত্রু বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, সত্যিকার গণতন্ত্রের রক্ষা কবজ মুক্ত গণমাধ্যম। যদি মুক্ত গণমাধ্যম না থাকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যায় না। আমাদের শরীরে যেমন মেটাবোলিজম আছে, যে অক্সিজেন না নিলে আমরা বাঁচি না, ঠিক তেমনি মুক্ত গণমাধ্যম না থাকলে গণতন্ত্র বাঁচে না।
ওয়ান ইলেভেন নিয়ে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১/১১ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে। ঘোষণা দিয়ে তারা ওই সরকারের বৈধতা দিয়েছিল।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গানি চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর