নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাভজনক ও ফলন ভালো হওয়ায় তুলা চাষে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ঝালকাঠির গাবখান ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেকার ও দরিদ্র মানুষের। এ অঞ্চলের কৃষিতে তুলা চাষকে নতুন সম্ভাবনা বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় সাত বছর ধরে এ অঞ্চলের কৃষকরা রুপালি-১ ও রুপালি-৪ জাতের তুলা চাষ করছে।
চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষিভিত্তিক গ্রাম গাবখান ও এর আশপাশের এলাকায় ৭০ একর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। চৈত্রের শুরু থেকে ক্ষেতগুলোতে সাদা তুলায় ভরে গেছে। ক্ষেতে তুলাতে ব্যস্ত কৃষক।
চাষি মো. নুর হোসেন বলেন, আমাদের গাবখান তুলাক্ষেতের জমিতে বালুর আধিক্য থাকায় প্রচুর পানি দিতে হয়। এখানে কোনো নলকূপ নেই। নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে মাসে অন্তত চারবার পানি সেচ দিতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য খাতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। অথচ সে তুলনায় তুলার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তারপরও আমরা তুলা চাষ করছি। কারণ এর সঙ্গে গ্রামের বহু মানুষের জীবিকা জড়িত।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ঝালকাঠি কটন ইউনিট অফিসার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, তুলাবীজ সাধারণত আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বপন করা হয়। তবে দক্ষিণাঞ্চলে ওই সময় মাঠে পানি থাকায় শুধু উঁচু জমিতে তুলা চাষ করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি আশ্বিন-কার্তিক মাসে যেন বীজ বপন করা যায় এমন তুলার বীজ উদ্ভাবন করতে। এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ চলছে। আশা করছি নিচু জমিতেও তুলা চাষ সম্ভব হবে। তাহলে আমাদের বিদেশ থেকে তুলা আমদানি করতে হবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠিতে ৭০ একর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের তুলা চাষে উৎসাহিত করছি। এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য তুলা চাষ হতে পারে একটি নতুন সম্ভাবনা। কেউ তুলা চাষে আগ্রহী হলে আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাকে পর্যাপ্ত সহায়তা দেই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ