২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৪

দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দক্ষিণ চীন সাগরে জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে চীন। দক্ষিণ চীন সাগরের তিনটি স্থানে এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার এখবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খবরটি সঠিক হলে বিতর্কিত স্পার্টলি দ্বীপে এটাই হবে প্রথম চীনা ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন। এই দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের বিরোধ রয়েছে। এই বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চাইলে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের পর্যালোচনার কথা এক অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনবিসি। খবরে বলা হয়েছে, গত ত্রিশ দিনে ফিয়েরি ক্রস রিফ, সুবি রিফ ও মিসচিফ রিফে চীন এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। স্পার্টলি দ্বীপের চীনের সামরিকায়নের বিরোধিতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না।

স্পার্টলি দ্বীপে সামরিক সরঞ্জাম স্থাপনের বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তা একেবারেই রক্ষণাত্মক। নিজেদের ভূখণ্ডে তারা যা ইচ্ছে করতে পারে। তবে দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে কিছু বলেনি। সিএনবিসি জানিয়েছে, ওয়াইজে-১২বি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ২৯৫ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে যে কোনও নৌযানে হামলা চালাতে পারবে চীন। আর এইচকিউ-৯বি দীর্ঘ পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ১৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে বিমান, ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারবে দেশটি।

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থিংকট্যাংকের দক্ষিণ চীন সাগর বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রেগ পোলিং জানান, ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, স্পার্টলি দ্বীপে এটাই হবে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা। যা জাহাজ বিধ্বংসী হোক বা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হোক। এই বিশেষজ্ঞ জানান, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজের বৃদ্ধির জন্য ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন চীনের জন্য বড় পদক্ষেপ। বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য এই সমুদ্র পথটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :মে ৩, ২০১৮ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ