নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তোবারক হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। গত রোববার ওয়াশিংটন ডিসির রকভিলে ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। কূটনীতিক হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর তোবারক হোসেন সাধারণ বীমা করপোরেশন ও গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
ইউনূস সেন্টারের মুখপাত্র লামিয়া মোরশেদ জানান, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছেলের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন তোবারক হোসেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তোবারক হোসেনের ছেলে রিয়াজ হোসেনের বরাত দিয়ে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি জানিয়েছেন, বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির নিউ হ্যাম্পশায়ার এভিনিউয়ের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে জানাজার পর রকভিলের পার্কলন মেমোরিয়াল গার্ডেনে সাবেক এই কূটনীতিকের দাফন হবে।
মুন্সীগঞ্জের ছেলে তোবারক হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে মাস্টার্স করার পর লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়েন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর ১৯৬৮ সালে তিনি রাষ্ট্রদূতের মর্যাদায় মহাপরিচালক পদে উন্নীত হন। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ক্ষমতার পট পরিবর্তনের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পান তোবারক হোসেন। ওই দায়িত্বে তিনি ছিলেন ১৯৭৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
তোবারক হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দেশে আবার ক্ষমতার পট পরিবর্তন ঘটলে ১৯৮২ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। নব্বইয়ের দশকে খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ ভাগে ১৯৯৫-৯৬ সময়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তোবারক হোসেন। ২০০২ সালে তিনি যোগ দেন গ্রামীণ ব্যাংকে। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ২০১০ সালে তিনি অবসরে যান।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি মুহাম্মদ ইউনূস এক বার্তায় বলেন, এই ব্যাংককে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে তোবারক হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি