লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
আজকাল অনেকেই পেটে জমা বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তায় আছেন। স্বাস্থ্য বেশি নয় কিন্তু পেটে মেদ জমছে এটা একটা কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কর্পোরেট লাইফে ৮/১০ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয় যাদের, তারাই বেশি বাড়তি মেদের ঝামেলায় আক্রান্ত।
তবে সমাধান জানা থাকলে কোনো সমস্যাই বেশিদিন টিকতে পারে না। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনার বাড়তি মেদ ঝরে পড়বে।
মেদ কমানোর উপায়:
– সপ্তাহে অন্তত: ৪দিন ১ ঘণ্টা দৌড়ান। মেদ পড়িমরি করে পালাবে। কিংবা প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন ঘণ্টাখানেক। হাঁটা বা দৌঁড়ানোর জন্য ভোর কিংবা বিকেলের পরের সময়টা ভালো। হাঁটা বা দৌড়ানোর সুযোগ যাদের নেই তারা নিজের বাসায় নির্দিষ্ট একটি জায়গাকে জগিং স্পট বানিয়ে জগিং করুন। তবে মনে রাখবেন ব্যায়ামের জন্য জুতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। এজন্য বেছে নিন স্পোর্টস সু।
– সকালে নাশতার সঙ্গে এক মগ সবুজ চা (গ্রিন টি) রাখুন। অবশ্যই এতে চিনি দেবেন না, মিষ্টি খেতে চাইলে মধু মেশান। আজকাল বাজারে পাওয়া মধুর বেশিরভাগই ভেজাল মধু। তাই মিষ্টিবিহীন চা খেতে চেষ্টা করুন। নেহায়েত না পারলে খাঁটি মধু সংগ্রহ করবেন। যারা সকালে মিষ্টিবিহীন এক মগ চা খাবার কথা শুনে মুখ শুকিয়ে ফেললেন তাদের জন্যও টিপস আছে। রাতে শোয়ার আগে এক মগ গরম পানিতে একটা টি ব্যাগ (সবুজ চা) ফেলে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে ফুরুৎ করে গিলে ফেলুন।
– টক দই খেতে পারেন। টক দই খেলে মেদ ঝরে পড়ার পাশাপাশি ত্বক সুন্দর হবে, পেট পরিষ্কার থাকবে। যারা টক দই খেতে অপছন্দ করেন, তারা একটা কাজ করবেন। ফ্রিজে একটা কাপে টক দই ও চামচ রাখুন। কাজের ফাঁকে বা হাঁটাচলার মধ্যেই ফ্রিজ খুলে চামচের আগায় একটু টক দই নিয়ে গিলে ফেলুন। ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান। এক সপ্তাহ যেতে দিন, তারপর দেখুন কেমন অভ্যাস হয়ে গেছে আর টক দই খেতেও তেমন খারাপ লাগছে না। টক দই খাওয়ার পরিমাণ হলো একবারে এককাপের বেশি খাবেন না। সালাদ বা ফলের সঙ্গে মিশিয়েও টক দই খাওয়া যায়। দুপুরে এক কাপ ভাত স্রেফ টক দই দিয়েই খেতে পারেন।
– প্রতিদিন লেবু পানি খেতে পারেন। হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। বাসায় খাঁটি মধু থাকলে লেবু পানিতে মধু দিয়ে নেড়ে নিন।
– দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচের ঝাল খান। রান্নায় ব্যবহৃত এ মশলাগুলো শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। আপাতত এই টিপসগুলো থেকে প্রথম তিনটা মেনে চলার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে বাকিগুলো রপ্ত করুন। তাছাড়া ফিগারটা ফিটফাট রাখতে চাইলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। আর মাসখানেক পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন মনটা কতো ভালো হয়ে গেল!
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর