নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক ফোরাম নামের একটি সংগঠন প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান অথবা না চান একটা কথা আপনাকে বলি এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রিয়, তারা খুব গণতন্ত্রকে পছন্দ করে। গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ লড়াই করেছে, যুদ্ধ করেছে। এই গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কিছু ভাবতে পারে না। সেহেতু আগামী ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, ফলে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় যাবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এভাবেই দেশের সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পরে তাঁর দুটি অসহায় মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা যখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তখন কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি শেখ হাসিনা একদিন দেশে ফিরে আসবেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তেমনিভাবে এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে আসবেন, তাঁর ছেলে তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা যা সত্য প্রমাণিত করেছেন তারেক রহমানের জন্যও সেটি সত্য প্রমাণিত হবে। কারণটা হলো শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না।আর এদিকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাবা শহীদ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং তার মা বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং পাল্লা তো এই(তারেক) দিকে বেশি ভারী।’
সরকারের সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতাউর রহমান কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কত হাজার কোটি টাকা লুটপাট করলো তার তদন্ত করতে পারলেন না। ১ হাজার কোটি টাকা ফার্মার্স ব্যাংক থেকে চুরি হয়ে গেলো, ৯৬ হাজার কোটি টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটপাট করা হলো সেই অপরাধীরা কোথায়? তাদের তো ঠিকানা হওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় কারাগারে। আর যিনি দুর্নীতি বিরোধী পরিবারের আস্থার প্রতিক, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যার থাকার কথা ছিল কারাগারের বাহিরে কিন্তু সারা বিশ্বময় তাকে একটি মিথ্যা সাজানো মামলায় আটকে রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত একটি কারাগারে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কৃষদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলিম হোসেন, সেলিম হোসেন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কৃষদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর