কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার সকালে ডিগ্রি তেকানী চরে ছেলেকে সাথে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাত হয়ে দু’জনেই ঝলসে যান। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
দুপুরের দিকে শাহজাদপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বজ্রপাতে নাবিল ও পলিং নামের দুই কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তারা পৌর এলাকার ছয় আনিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ও শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনচার্জ (নার্স) আব্দুল লতিফ ওই দুই ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার পেস্তক কুড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বজ্রপাতে কাদের হোসেন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কৃষক কাদের হোসেন বাড়ীর পাশেই নিজের ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। হঠাৎ করেই বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিলা বেগম বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ