মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নেতাকর্মীদের সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে আন্দোলন চলিয়ে যেতে।
মির্জা ফখরুল জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শরীর অত্যন্ত খারাপ। তাঁকে (বেগম খালেদা জিয়া) দেখে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি যে হাসপাতালে (ইউনাইটেড হাসপাতাল) যেতে চেয়েছেন, সেখানে রেখে তাঁর দ্রুত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। দেশবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়া দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
আজ শনিবার বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের তিন নেতা বিকেল পৌনে চারটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন। অন্য দুই নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খাঁন। জেল গেটে পৌঁছে বেশকিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তারা কারাগারের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পান। বিকেল পাঁচটায় তাঁরা কারাগারে সাক্ষাত শেষে বেরিয়ে আসেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) বলেছেন, তাঁর বাঁ হাত আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাঁ হাতের ওজনও বেড়ে গেছে। বাঁ পা থেকে শুরু করে শরীরের বাঁ দিকে তাঁর ব্যথা বেড়ে গেছে। এখন সাধারণভাবে হাঁটাচলা করাও তাঁর জন্য মুশকিল হয়ে গেছে।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, কারাকর্তৃপক্ষের করা মেডিকেল বোর্ডের দেয়া ওষুধ কোন কাজ করছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আর বিলম্ব না করে অবিলম্বে তিনি যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চেয়েছেন, সে হাসপাতালে রেখে বিশেষভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এটা সরকারের দায়িত্ব। এর যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, কোনো রকমের ক্ষতি হয়, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন বিএনপি নেতারা।
দুর্নীতির দন্ড মাথায় নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাত-পা, মেরুদন্ড ও ঘাড়ের ব্যথার পাশাপাশি চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন।
গত ৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয়েছিলো।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর