নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন হচ্ছে জাতীয় জিন ব্যাংক। ফলে জিনগত ক্ষয় প্রতিরোধ, রোগ, কীটপতঙ্গ, জলবায়ু ও পরিবেশগত অন্যান্য জৈব ও অজৈব চাপ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন, গুণগত মানোন্নয়ন ও অধিক সহনশীল জাত উন্নয়ন গবেষণা হবে। এজন্য জেনেটিক রিসোর্স সমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ‘জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপন’ প্রকল্প স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ব্যয় প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৪৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে এ প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। উদ্যোগটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও গণপূর্ত অধিদফতরে বাস্তবায়ন করবে।
জানা গেছে, জেনেটিক সম্পদগুলোকে বলা হয় এই গ্রহের প্রথম প্রাকৃতিক সম্পদ। এসব জেনেটিক সম্পদগুলোর ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা বিভিন্ন উন্নত গুণগত মানসম্পন্ন এবং অধিক উৎপাদনশীল বিভিন্ন জাত বা ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করে থাকে। এই সম্পদ হারিয়ে গেলে মানব জাতি হারিয়ে ফেলে নতুন সামাজিক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে কৃষি অভিযোজনের সম্ভাব্য উপায়।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ-সংক্রান্ত্র ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় জেনেটিক সম্পদের টেকসই পুনঃউৎপাদন ও ব্যবহার, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন কার্যক্রমে এদের সঠিক ব্যবহার এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য সংরক্ষণ এখন সময়ের চাহিদা। দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিরাজমান ও বিলুপ্ত প্রায় কৌলি সম্পদের তালিকা তৈরি, সংরক্ষণ ও ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে এর সুফল দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রয়োগের জন্য জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
এছাড়া সীমানা প্রাচীর, সাব-স্টেশন ভবন, গার্ড সেড, অ্যানিমেল সেড, প্ল্যান্ট কোয়ারন্টাইন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং কম্পাউন্ড ড্রেনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ