নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রথমে তারা পত্রিকায় ‘পাত্র-পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন দিতো। বিজ্ঞাপনে চক্রটি তাদের মোবাইল নম্বরসহ বাসার ঠিকানাও দিতো। পাত্রী দেখতে ইচ্ছুক কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আলোচনার নামে ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যদের ডেকে নিয়ে জিম্মি করতো তারা। ব্যবসায়ীদের মেয়েদের সাথে আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করা হতো। পরে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা হতো। আর মহিলাদের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও বিদেশে পাঠানোর নামে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করতো নয়জনের একটি প্রতারক চক্রটি। আর এই কাজগুলো তারা নিজেদের পুলিশ-সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে করে আসছিল। অবশেষে রাজধানীর ডেমরা থেকে অপহরণকারী এই চক্রটিকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি-পূর্ব) বিভাগ। এ সময় দুই জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে গোয়েন্দারা।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্মকমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ডেমরার শাহজালাল রোডের আয়েশা মঞ্জিল বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- আব্দুল হালিম, রনি, মোবারক হোসেন, রোজিনা, সেলিম ঘটক, মঞ্জু, রফিক, মোস্তফা ও হান্নান মাতাব্বর।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও দুই জোড়া হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়।
আবদুল বাতেন বলেন, তারা পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনার নামে ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যদের ডেকে নিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো। মহিলাদের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও বিদেশে পাঠানোর নামে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করতো। নিজেদের পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করতো। অভিযানে তাদের কাছ হাতে জিম্মি আব্দুল আজিজ ও আরমানকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের বরাত দিয়ে যুগ্মকমিশনার জানান, তারা নিরীহ ব্যক্তিদের বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাৎ করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তারা ওই ঠিকানায় দুই ব্যক্তিকে পাত্রী দেখানোর নামে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার সময় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। আজই তাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর