স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্ব যখন ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি করছে তখন তোড়জোড় শুরু হয়েছে পরের বছরের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়েও। বুধবার আইসিসি প্রকাশ করেছে ২০১৯ বিশ্বকাপের সূচি। সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ। দেড় মাসব্যাপী ক্রিকেটের এই মহারণে দলগুলো লড়বে ইংল্যান্ডের ১১টি ভেন্যুতে।
ইংল্যান্ডের মাটি মানেই যেন বাংলাদেশের জন্য অন্যরকম কোন অর্জন। ১৯৯৯ সালে এখানেই হয়েছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিষেক। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই ব্রিটিশ মুলুকে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিল লাল-সবুজের দল।
কার্ডিফে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে বাংলাদেশ দল সতর্ক বার্তা দিয়েছিল এই ইংল্যান্ডেই। গেল বছর সেই কার্ডিফেই নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। আর বিশ্বকাপে এবারে কার্ডিফের মাঠে বাংলাদেশ পাচ্ছে স্বয়ং স্বাগতিকদেরই।
এছাড়া এই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ছুঁয়েছেন বেশ কিছু ব্যক্তিগত মাইলফলকও। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন কার্ডিফের সেই ম্যাচে।
লর্ডসের অনার্স বোর্ডে শতক হাঁকিয়ে নাম উঠিয়েছিলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, পাঁচ উইকেট নিয়ে সেখানে নাম লিখিয়েছেন শাহাদাত হোসেন রাজিবও। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা তিন রান সংগ্রাহকের তালিকায়ও ছিলেন তামিম ইকবাল।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের মতো আসছে বিশ্বকাপেও দশ দল মুখোমুখি হবে দশ দলেরই। ফলে ইংল্যান্ডে সেমিফাইনাল বা ফাইনাল বাদেই বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে মোট নয় ম্যাচে মাঠে নামার।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ