বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে বলে অভিযোগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ অভিযোগ করেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালতে পাঠানো কারা কর্তৃপক্ষের রিপোর্টে বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ ও আনফিট। তিনি গুরুতর অসুস্থ বলে তার সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আত্মীয়-স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতাদেরও দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে শয্যাশায়ী। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে নির্জন কারাঘরে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সরকারকে অনুরোধ করছি কালবিলম্ব না করে কারাঘরের বাইরে দেশের স্পেশালাইজড হাসপাতালে (ইউনাইটেড হাসপাতাল) পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
তিনি আরো বলেন, যে কারা অন্তরালে বেগম খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে এই কারাঘরটি বর্তমানে কোনো সিডিউল কারাঘর না। এটি একটি নির্জন জাদুঘর। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে এখানে রেখে অসুস্থ বানিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে তার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মানবিক চিন্তা করে বেগম খালেদা জিয়াকে একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থাশীল। আশা করি আগামী ৮ মে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সবদিক বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন। সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ