২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১৮

জামালপুরে ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির ধান

কৃষি ডেস্ক :

জামালপুরে বোরো ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। ব্যাপক এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির ব্রি-২৮ জাতের ধান। ছত্রাক জনিত ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধানে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জামালপুরে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮শ’৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে উফশী জাতের ব্রি-২৮ জাতের ধান। জেলার ৭ উপজেলায় আগাম জাতের এই ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ।

পৌরসভার হাটচন্দ্রার এলাকার কৃষক ওয়াহাব মিয়া জানান, আগাম চাষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে রক্ষার পাশাপাশি ভাল দাম পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ উফশী জাতের ধান চাষ করে আসছেন তারা। চলতি মৌসুমে ধান পাকার ঠিক আগ মুহূর্তে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হযেছে বোরো ধান। ধানের ডগায় পচন ধরে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করেও তাদের ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। এই ধান ঘরে না ওঠায় সারাবছরের খাবার নিয়েও চিন্তিত তিনি।

একই এলাকার কৃষক মো. সেলিম আব্বাস জানান, তার ২ একর ক্ষেতে লাগানো ধানের মধ্যে প্রায় দেড় একর জমির ধানে এ রোগ দেখা দিয়েছে। এতে তার অধিকাংশ ধানই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উফশী জাতের ব্রি-২৮ জাতের আগাম ধান পুরনো জাতের। এই জাতটি পুরনো হওয়ায় রোগ-বালাইয়ের ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য হওয়ায় এই রোগে প্রভাব বিস্তার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। এর পরও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ ১৪ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণের কথা স্বীকার করলেও এই রোগে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ২৩, ২০১৮ ৩:৩৩ অপরাহ্ণ