২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:২৮

স্মার্টফোনে আসক্তি যেসব ক্ষতি করছে

লাইফ স্টাইল ডেস্ক:

প্রতিটি পদক্ষেপে মুঠোফোন এমন ভাবে আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে যে, একটি মুহূর্তও স্মার্টফোন ছাড়া আমরা ভাবতে পারি না। যেন স্মার্টফোন ছাড়া মানুষের দৈনন্দিক জীবন প্রায় অসম্পূর্ণ। কিন্তু যেন ফোন ছাড়া আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ, সেটি আবার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্মার্টফোনের ফ্রিকোয়েন্সি শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্মার্টফোন ব্যবহারের কয়েকটি ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হল-

শ্রবণ শক্তি হ্রাস: স্মার্টফোন কান থেকে দূরে রেখে তো আর ব্যবহার করা যায় না। ফলে বেশি সময় কানে ফোন রেখে কথা বললে সমস্যা তৈরি হয়। তুলনায় হেডফোন ব্যবহার করা ভাল। আবার হেডফোন ব্যবহার করে খুব জোরে গান শুনলে কানের ভিতরের কোষে তার প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস: গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। গবেষকেদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।

নিদ্রাহীনতা: স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা। যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এ ধরনের প্রযুক্তিপণ্য অতিমাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের শরীরে মেলাটোনিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে; যার কারণ প্রযুক্তিপণ্য থেকে নির্গত উজ্জ্বল আলো। এক পর্যায়ে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয় এবং স্লিপ ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি তৈরি হয়।

অস্থি-সন্ধির ক্ষতি: অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে কাজের সময় কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রাখেন। অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে মেসেজ পাঠান। এ সবই শরীরে বিভিন্ন অস্থি-সন্ধির ক্ষতি করে। পাকাপাকি ক্ষতি হতে পারে শিরদাঁড়ায়।

চোখের জ্যোতি কমতে পারে: খবরের কাগজ বা বই পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :এপ্রিল ২২, ২০১৮ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ