নিজস্ব প্রতিবেদক:
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণের জন্য কমনওয়েলথকে তার লক্ষ্য অর্জনে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘চারটি স্তম্ভের নিরিখে এই সিএইচওজিএম-এ চিহ্নিত লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলেও সংস্কার অপরিহার্য।’
বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থায়ী সময় সকালে ২৫তম কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট সভায় (সিএইচওজিএম) ল্যানকেস্টার হাউজে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কারের মাধ্যমে কমনওয়েলথ সচিবালয় পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই সিএইচওজিএম সভায় নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনেই সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ ঘোষণার কানেকটিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি, গভর্ননেন্স এবং ব্লু চার্টার সম্পর্কিত বিষয় বাস্তবায়নের জন্য কমনওয়েলথ সচিবালয়ের উচিত একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন, আইনের শাসনই লক্ষ্য থাকতে হবে। কেন না, এগুলো হলো টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সহায়তা ও সম্পৃক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
শেখ হাসিনা বলেন, নীল অর্থনীতির সুফল পেতে হলে সামর্থ্য বিনির্মাণ এবং প্রযুক্তি, গবেষণা ও উত্তম উদ্যোগ বিনিময়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর তাদের অঞ্চলের বাইরেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। নীল অর্থনীতির ধারণা বেগবান হওয়ায় এই প্রয়োজনীয়তাটা আরও পরিস্কার হয়েছে।
তিনি বলেন, আইসিটি খাতের উন্নয়ন বাংলাদেশে একটি জাতীয় অগ্রাধিকার, যা ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন অর্জন করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ এবং এ সংক্রান্ত সামর্থ্য নির্মাণ ডিজিটাল বিভাজন হ্রাস, দারিদ্র্য প্রশমন, টেকসই উন্নয়ন ও সার্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের গোড়ার কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারিগরি ও বিশেষায়িত দক্ষতা বিনিময় ও সামর্থ্য বিনির্মাণ আমাদের জনগণের জন্য অবশ্যই একটি অগ্রাধিকার হিসেবে চাই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ