সিলেট প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট হ্যাকিঙের মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন এবং এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্রফাঁসকারী চক্রের অন্যতম ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৯। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার বিরাইপুর গ্রামের মো. মকবুল আলীর পুত্র মো. শওকত হোসেন (১৯), একই এলাকার মো. মকবুল আলীর পুত্র মো. সৌরভ হোসেন (২১), একই থানার শ্যামলী গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের পুত্র মো. আব্দুল কাদির ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামের মো. কুদ্দুস মিয়ার পুত্র মো. হৃদয় মিয়া (১৭)।
মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিরামপুর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে বুধবার র্যাব-৯ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানান র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নাহিদ হাসান। তিনি জানান, চলমান এইচএসসি ও এসএসসি সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রফাঁস ঠেকাতে ও এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের আইনের আওতায় আনতে র্যাব সারাদেশে যে গোয়েন্দা নজরদারী চালাচ্ছিল তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের গতিবিধি অনুসরণ করছিলো র্যাব-৯। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে র্যাবের-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তদেরকে শ্রীমঙ্গল থানাধীন এলাকা থেকে আটক করে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে এইচএসসি ও এসএসসিসহ সমমানের সকল পরীক্ষার ফলাফল প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিবর্তন ও ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিলো। এভাবেই তারা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিণাম অর্থ। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একথা স্বীকার করেছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, তারা একেক সময় একেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এসব কাজ সংঘটিত করতো। এমনকি তারা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ফেইবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপসহ ইমো-ভাইবারের মতো অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ তৈরির মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অর্থ হাতিয়ে নিত। তিনি বলেন, আটককৃত আসামীদের শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি