স্বাস্থ্য ডেস্ক:
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও ধমনিসংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে এই সামান্য সমস্যাই অনেক মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে কয়েক মুহূর্তে। তাই অনেক সতর্ক হয়ে চলতে হয় যাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে।
অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়তে থাকে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা অর্থাৎ এইচডিএল কমতে থাকে।
আপনার বয়স: এই কারণটির উপর আপনার হাত নেই কিন্তু আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। বয়স বিশের পর থেকেই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং পুরুষের জন্য ৫০ বছর পর্যন্ত তা বাড়তেই থাকে। এই সময় একটু সতর্ক থাকা জরুরি। অপরপক্ষে নারীদের মনোপজ হওয়া পর্যন্ত তা মোটামুটি পর্যায়েই থাকে।
ধূমপান: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। কিন্তু আপনি জানেন কি ধূমপানের কারণে দেহে এইচডিএল অর্থাৎ হাই ডেনসিটি লিপো-প্রোটিনের মাত্রা কমে যায় এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ধূমপানের ফলে রক্তের শিরা-উপশিরা শক্ত হয়ে যেতে থাকে যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধা এবং অ্যাথেরোস্কেলেরোসিসের আশঙ্কা বাড়ে।
আপনার খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস। আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্যচুরেটেড ফ্যাট বিশেষ করে প্রাণিজ ফ্যাট রেখে থাকেন তাহলে আপনি খুবই শিগগিরই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পারিবারিক ইতিহাস: অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ কোলেস্টেরলের সাথে পারিবারিক ইতিহাস জড়িত থাকে। এতে আমরা হাইপারকোলেস্টেরলোমিয়া বলে থাকি। পারিবারিক ইতিহাসে যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।
শারীরিক পরিশ্রম: একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অর্থাৎ এলডিএল বাড়তে থাকে যার ফলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। সুতরাং সময় থাকতেই পরিশ্রম করুন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ