শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্ক:
দেশে কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎতের দাবি করেছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।
বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে তারা এ দাবি জানান। আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শিল্প উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সব খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে’।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
এদিকে নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষতা সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে শিল্পমন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী।
২০১৬ সালের জন্য ৫ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস্ লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ও আরএফএল প্লাস্টিকস্ লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, প্রাণ ফুডস্ লিমিটেড ও গ্রাফিকপিপল। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড ও সিন্থেটিক এডেসিভ কোং লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একাডেমিক বুক হাউস এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ইস্টার্ণ কেবলস্ লিমিটেড ও গাজী ওয়্যারস্ লিমিটেড।
উল্লেখ্য শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে। নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়ানোসহ বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার চতুর্থবারের মত এ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ