বিনোদন ডেস্ক:
পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। ছোটবেলা চৈত্রের শেষ দিকে বৈশাখের আমেজ শুরু হয়ে যেত। বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি আর ভাইয়া মেলায় যেতাম। মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হতো বৈশাখের কয়েক দিন আগে থেকে। সে সময় বাবা-মায়ের কাছে ছোট ছোট কিছু বায়নাও থাকতো। এখন সেই বায়না নেই। একটু বড় হওয়ার পর আমি ঢাকা চলে আসি। ঢাকায় এসে রমনা বটমূলে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। সেখানকার একটা স্মৃতি রয়েছে। যা এখনও মিস করি।
২০১১ সালে আমি চলচ্চিত্রে পা রাখি। সে বছর পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম। সঙ্গে মা-বাবা, ভাই, খালা, খালাতো ভাই-বোন ছিল। সেদিন মাথায় ফুল দিয়ে সেজেছিলাম। গালে আলপনা করেছিলাম। আগের দিন আমার ছোটভাই মোবাইল কিনেছিল। আমরা ঘুরে ঘুরে অনেক ছবি তুলেছিলাম। ছবিগুলো চমৎকার হয়েছিলো। ঘোরাঘুরি শেষে আমরা যখন বের হবো তখন গেটে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। কিছু ছেলে সেখানে জটলা পাকিয়েছিল। আমরা বেশ কষ্ট করে সেই ভিড়ের ভেতর দিয়ে বের হয়ে আসি। হঠাৎ ছোটভাই বলল, আপু আমার মোবাইল নেই! বুঝলাম ঘটনাটা ওই ভিড়ের মধ্যে ঘটেছে। নতুন মোবাইল তো গেলই, ছবিগুলোও হারিয়ে গেল চিরদিনের জন্য। দিনের আনন্দ নিমেষেই শেষ।
এরপর বৈশাখের মেলায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি। এবার যাব, ইচ্ছে আছে। ছোটবেলার বৈশাখ খুব মিস করি। বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে পহেলা বৈশাখ। সুতরাং দিনটি সব সময় আনন্দে পালিত হোক এটা চাই।