বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে চীনের পুলিশ একটি কনসার্টে ৬০ হাজার দর্শকের ভিড়ে মিশে থাকা একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে ‘আর্থিক/অর্থনৈতিক অপরাধের দায়ে’ অভিযুক্ত আয়োকে পুলিশ ধরে ফেললে তিনি ‘হতভম্ব’ হয়ে যান।
চীনে নাগরিকদের ওপর নজরদারি বা সারভেইলেন্স ক্যামেরার বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ১৭ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরার সঙ্গে চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ও নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার যুক্ত করায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নজরদারি করার ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আগামী কয়েক বছরে এই নেটওয়ার্কে আরো ৪০ কোটি ক্যামেরা যুক্ত করা হবে।
কনসার্টের টিকিট কাউন্টারেই আয়োকে শনাক্ত করে ক্যামেরা। পরে অন্যান্য দর্শক-শ্রোতার মধ্যে মিশে গেলেও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
চীনের জিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন তাকে ধরি, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি একদম বোকা বনে গিয়েছিলেন। উনি মনে করেছিলেন আমরা তাকে ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে এত দ্রুত ধরতে পারব না।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, টিকিট কাউন্টারের একাধিক ক্যামেরায় চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি যুক্ত করা ছিল।
আয়ো কনসার্ট উপভোগ করতে তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি চালিয়ে ন্যাঞ্চ্যাং শহরে যান।
একটি নিউজ সাইটকে আয়ো বলেন, ‘আগে জানলে আমি ওই কনসার্টে যেতামই না।’
চীনের পুলিশ চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগেও বিভিন্ন সময়ে অপরাধী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে।
গত বছর আগস্ট মাসে একটি আন্তর্জাতিক উৎসব চলাকালীন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ২৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল।
চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তিতে চীন সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দেশটি তাদের নাগরিকদের নিয়মিত মনে করিয়ে দেয় যে, অপরাধ করে কর্তৃপক্ষের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ