স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একাদশ আসরে খেলছেন এই অলরাউন্ডার। সেখানে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব। খেলার প্রসঙ্গের সাথে উঠে আসে তার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা সম্পর্কও।
৩১ বছর বয়সী এই বাম–হাতির মাঠের সাফল্য বাংলাদেশ দলের জন্য এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় কোনো সাফল্যের পর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের অভিনন্দন, তাদের পক্ষ থেকে পুরস্কার পান জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। অনেক সময়ই তারা ক্রিকেটারদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাদের সাথে প্রীতি ভোজেও অংশ নেন। দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ সাকিবের এই অভিজ্ঞতাগুলো আগে থেকেই আছে।
গেল মার্চে নিদাহাস ট্রফির আগে সপরিবারে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খেলাতেও মেতে ওঠে। ছবিটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন সমালোচনাও ওঠে, ‘ভবিষ্যত রাজনীতির’ টিকিট কনফার্ম করছেন সাকিব আল হাসান।
এরপর আইপিএল খেলতে ভারতে আসার আগেও গিয়েছিলেন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে। এরপর থেকেই অনেকের কৌতূহল, সাকিব কি দ্রুতই রাজনীতির মাঠে নামছেন?
এসব প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্নটা করে ফেলে পিটিআই। সাকিবের সোজাসাপ্টা জবাব, ভবিষ্যতের কথা এখনই কিভাবে বলবেন, ‘কেউই নিজের ভবিষ্যতের কথা বলতে পারে না। আমি বর্তমানেই বাস করতে চাই।’
তবে রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দেননি, ‘আমি কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ বিষয়ে কোনো চিন্তাই করিনি। তাই এটা নিয়ে কথা বলাও কঠিন।’
শেষে সাকিব জানিয়েই দিয়েছেন ক্রিকেটই আপাতত তার ধ্যান-জ্ঞান, ‘ক্রিকেট আমার জীবন এবং আমার মনোযোগ শুধু এখানেই থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ নিয়েও কথা বলেছেন, ‘এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি ক্রিকেট খুব পছন্দ করেন এবং খেলোয়াড়দের সব সময় উৎসাহ দেন।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ