২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:০৮

গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণের কারণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

নানা কারণে গর্ভাবস্থায় পিরিয়ডের রাস্তায় রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় রক্তপাত ও ঋতুস্রাব এক জিনিস নয়। তাই গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ যেকোনো গর্ভবতী মায়ের জন্য বেশ ভয়ের ব্যাপার। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সময় রক্তপাত হতে পারে। পুরো গর্ভাবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করলে প্রথম তিন মাস, মাঝের তিন মাস ও শেষের তিন মাসের যেকোনো সময় রক্তক্ষরণ হতে পারে।

২০ থেকে ৪০ শতাংশ গর্ভবতীর শুরুর দিকে খুব সামান্য পরিমাণে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহের কারণে এটি ঘটে থাকে অথবা ভ্রুণ যখন জরায়ুর ভেতরের স্তরে স্থাপিত হওয়া শুরু করে তখন সামান্য রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়।

ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার ৬ থেকে ১২ দিনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটতে পারে। খুব সামান্য পরিমাণে গোলাপি বা কালচে রক্তের ছোপ অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়, কিন্তু যদি বেশি পরিমাণে তাজা রক্ত নিঃসৃত হয় যা দেখতে মাসিকের মতো মনে হয়, তবে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। অল্পমাত্রার রক্তক্ষরণের পরও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছে এমন অনেক মা রয়েছেন।

এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় নাক এবং মুখের রক্তনালীতে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এগুলো অধিক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। সেজন্য অনেক সময় এসব অঙ্গে রক্তক্ষরণ হতে পারে কিংবা দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্তপাত হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাতে শোবার সময় নাকে নরমাল স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে এবং দাঁত ব্রাশ করার সময় নরম ব্রেসলের ব্রাশ দিয়ে সাবধানে ব্রাশ করতে হবে।

আর কোনো কারণ ছাড়াই শুধু শুধু যদি দাঁত, মাড়ি অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ১৩, ২০১৮ ৬:০৬ অপরাহ্ণ