নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শাহআলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবির হত্যা মামলায় তার স্ত্রী রহিমা সুলতানা রুমিসহ দুইজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া রায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামির নাম মো. রাফা এ মিষ্টি। তিনি রুমির সহযোগী ছিলেন। এছাড়া রায়ে রাফার স্ত্রী রিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুমি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র নার্স ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রুমি কারাগারে আছেন। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
শাহআলী থানা পুলিশের তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ১০৫০/৩, পূর্ব মনিপুর কাঠালতলার ভাড়া বাড়িতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের ভাই বজলুর রশিদ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘুমের ইনজেকশন দেয়ার পর হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করে তার স্ত্রী। তাকে সহযোগিতা করে দুইজন। হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে এক নারীর পরকিয়া থাকায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে রুমি জানিয়েছিলেন।
মামলার পর নিহতের স্ত্রী রুমি, তার সহযোগী মো. রাফা এবং তার স্ত্রী রিয়াকে আটক করা হয়। এরপর আসামি রুমি মামলায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জামিন পাওয়ার পর পলাতক হন অপর দুই আসামি।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মইনুল ইসলাম আদালতে নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ১৪ জুন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটির বিচারকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম