দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
ব্রাজিলে তেলাপিয়া মাছ খাওয়ায় নিষেধ থাকলেও সম্প্রতি এর ভিন্ন ব্যবহার দেশটিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গবেষকেরা মানুষের পুড়ে যাওয়া চামড়া প্রতিস্থাপনে তেলাপিয়া মাছের চামড়া ব্যবহার করছেন। তাদের দাবি, এই পদ্ধতিতে পুড়ে যাওয়া মানুষের চিকিৎসা অনেক কম খরচে করা সম্ভব। পাশাপাশি যন্ত্রণারও উপশম হবে অনেকাংশে।
ব্রাজিলের নদী ও খামারগুলোতে তেলাপিয়া মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় যে আর্দ্রতা, কোলাজেন ও রোগ প্রতিরোধী গুণাগুণ রয়েছে তা প্রায় মানুষের চামড়ার সমতুল্য। ফলে তা পুড়ে যাওয়া চামড়া সারিয়ে তুলতে বেশ সহায়ক।
সাধারণত পুড়ে যাওয়া চামড়া সারিয়ে তুলতে মানুষের টিস্যু ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে তা সহজলভ্য হলেও ব্রাজিলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মানুষের টিস্যু বা এর কৃত্রিম অন্যান্য বিকল্প উপকরণগুলো বিরল। ফলে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়। যা স্থাপন ও অপসারণের সময় পুড়ে যাওয়া রোগীকে অনেক মারাত্মক যন্ত্রণায় ফেলে দেয়।
ব্রাজিলের সিয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওদোরিকো দে মোরাইস বলেন, পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় তেলাপিয়ার চামড়ার ব্যবহার আগে কখনো হয়নি। সাধারণত এই মাছের চামড়া ফেলে দেয়া হয়। তাই আমরা এটির ব্যবহার বাড়াতে চাচ্ছি।
তিনি দাবি করেন, তেলাপিয়া চিকিৎসায় পুড়ে যাওয়া রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাছাড়া যন্ত্রণাদায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি থেকেও তাদের মিলবে মুক্তি।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ