নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহে ছেলেকে বাড়ির পাশে বিলে ডেকে নিয়ে যায় বাবা। এর পর বিলে নামিয়ে ছেলের ঘাড় ধরে পানির নিচে চেপে ধরে রাখে। মৃত্যুর যন্ত্রণায় ধস্তাধস্তি করে কিশোর ছেলে। কিন্তু পাষণ্ড বাবা ছাড়েনি তাকে। দেহ নিথর হওয়ার পর পানি থেকে তুলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মৃত ছেলের গলায় ছুরি চালানো হয়।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুন্দাইল গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন গত বছরের ২৭ অক্টোবর। ডিবি পুলিশের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে জানান, মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ হত্যা রহস্য উন্মোচন করে। গত রোববার বাবা দুলাল মিয়াকে আটক করা হয়। সোমবার আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, দুলাল মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। নিহত আব্দুল্লাহ সংগ্রাম (১৪) তার প্রথম স্ত্রী রেহেনার সন্তান এবং সে বাবার সঙ্গেই থাকত। দুলাল মিয়া ও তার তৃতীয় স্ত্রী সুখিয়া আক্তারের বনিবানা হচ্ছিল না। ছেলেকে হত্যা করে স্ত্রীকে এ মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিলেন তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ