নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুন্দরবন ঘেঁষা লাল শ্রেণিভুক্ত ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরুপ বলেও জানানো হয়েছে আদালতকে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে লাল শ্রেণিভুক্তগুলো বাদে বাকিগুলো কমলা ও সবুজ শ্রেণিভুক্ত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সুন্দরবনের পাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে তা জানাতে গত ২৪ আগস্ট আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ছয় মাসের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদেশে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন করে শিল্প কারখানা স্থাপন না করার আদেশও দিয়েছিলেন আদালত।
সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তা বাতিলের নির্দেশ চেয়েও আবেদন জানানো হয়।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৪ এপ্রিল রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
আবেদনে পরিবেশ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি ও সুন্দরবনের আশপাশের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রায় একশ ৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্পও রয়েছে।
এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া এসব শিল্প কারাখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর