কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
গতকাল শনিবার(৩১ মার্চ) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স হিসেবে ব্যবহূত লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে মোট ৮৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৫ টাকা। ধর্মপ্রাণ লোকদের দান করা পাঁচটি লোহার সিন্দুক খুলে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এবার ৮৪ দিন পরে এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রথমে দানবাক্স থেকে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই সিন্দুক খুলে টাকা বাছাই ও টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। টাকা বাছাইয়ের কজে নিয়োজিত থাকেন মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার প্রায় ৬০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। টাকাগুলো বাছাই করে পৃথক পৃথক বস্তায় ভরার পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূাপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গুনে পরে ব্যাংকের মসজিদের হিসাবে জমা দেন। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় সারা দিন লেগে যায়। সাধারণত: ৩/৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/টি এইচ