নিজস্ব প্রতিবেদক:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষায় জনগণের দাবি ও ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের অবহেলা খুবই দুঃখজনক। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পরিবেশ ও বন বিনাশী কার্যক্রম বন্ধ না হলে অতি দ্রুতই সুন্দরবন বড় বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং দেশের ৫৭টি পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি। শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সুন্দরবন রক্ষায় চারটি দাবি তুলে ধরে বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলসহ ইউনেসকো যেসব সুপারিশ করেছে তা পালন করতে হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি বিষয়ে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে যে ১৩টি গবেষণা প্রতিবেদন সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে থাকা সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে; সুন্দরবনের পাশে অনুমোদন পাওয়া ৩২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প বাতিল করতে হবে; যেসব কারখানা ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে তা উচ্ছেদ করতে হবে; সুন্দরবনের ওপরে সব অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
সমাবেশে বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, চীন ও ভারত পর্যায়ক্রমে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসছে। তারা তাদের ফেলে দেওয়া প্রযুক্তি ও কয়লা বাংলাদেশের ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছে। ভারতের উচ্চ আদালত থেকে দেয়া রায়ে বলা হয়েছে কয়লার যে রাসায়নিক বিকিরণ তা পারমাণবিক শক্তির চেয়েও ক্ষতিকর। ফলে বাংলাদেশকে রক্ষায় রামপাল প্রকল্প বাতিলসহ সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ