নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের গণবিরোধী আচরণের সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে জনগণের ওপর যে অন্যায়-অত্যাচার করছে একটা সময় আসবে যখন এই জনগণই তাদেরকে ইতিহাসের পাতা থেকে বিলুপ্ত করে দেবে।’
শনিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে “খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদ।
সভায় নোমান আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশের সকল জনগণই সরকারবিরোধী। যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের অধিকাংশই চায় দেশে পরিবর্তন আসুক। কিন্তু এই পরিবর্তন সরকার চায় না। তারা একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায় না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক দিলে বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’
স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমানই দিয়েছেন এমন মন্তব্য করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগেই ১৯৭১ সালে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি তো কোনো রাজনীতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তারপরও কেন তাঁকে এ ঘোষণা দিতে হলো। কারণ তৎকালীন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা আনার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেদিন তা দেননি। কারণ স্বাধীনতা কিংবা স্বায়ত্বশাসন নিয়ে তাদের মনে দ্বিমত ছিলো।’
তিনি বলেন, ‘সেই সময় যদি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো। আমরা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। ১৯৭১ সালে বাঙালিদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। তারা বিভিন্ন থানা এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার ফলেই দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলো এবং দেশ স্বাধীন হলো।’
নোমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭১ এর আগে মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন এটা যেমন অস্বীকার করি না, একইভাবে স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এটাও অস্বীকারের সুযোগ নেই।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকন, সাবেক ছাত্র নেতা আবুল খায়ের ভূইয়া ও জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর