সিলেট প্রতিনিধি:
গত ২৬ মার্চ বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আজান নিয়ে মন্তব্য করে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া। তার এই বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার ফেসবুকে তিনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং আল্লাহর কাছে এই ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি এখানেই সুরাহা হয়ে যাবে। এনিয়ে আর কোন বিভ্রান্তি থাকবে না। তার ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় এলাকাবাসী!
আমার একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এসেছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আঘাত পেয়েছেন। এই বিষয়ে আমি কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাব না। আমি কি বলেছি? কেন বলেছি সেটা এই মূহুর্তে আমার বিবেচ্য নয়। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে স্ব-প্রণোদিত হয়ে বলতে চাই, আমার একটি বক্তব্যের কারণে আমার মুসলমান ভাই-বোনেরা কষ্ট পেয়েছেন, তা আমার কাছেও কষ্টকর। তাই আমি আমার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
যে যে বন্ধুরা এই বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। যারা আমার সমালোচনা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ, কারণ তারা আমাকে পরিশোদ্ধ ও ত্রুটিমুক্ত দেখতে চান। পাশাপাশি আল্লাহর কাছেও ক্ষমা চাইছি। আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ প্কা যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন ।
আমি সকলের দোয়া প্রত্যাশী।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহষ্পতিবার রাতে এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। সর্বত্র শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ জামেয়া হুসাইনিয়া গহরপুরে শনিবার বিকেলে সভা আহবান করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর মধ্যেই তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি