নিজস্ব প্রতিবেদক :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তার আইনজীবীরা। আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, কারা কর্তৃপক্ষ বলছে না তিনি কতটা অসুস্থ। তিনি কী কারণে অসুস্থ এবং কতটা অসুস্থ এ বিষয়ে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ কিছুই জানাচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এ অবস্থায় আইনজীবীরা চিন্তা করছেন আদালতে আবেদন করে তার জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে আনা যায় কি না। আগামীকাল রোববার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামিন করানোর চেষ্টা করবেন।
এ বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের কারাকর্তৃপক্ষ বলছে না তিনি কতটা অসুস্থ। সরকারও এ বিষয়ে কোনো কিছু জানাচ্ছে না। তার অসুস্থতার বিষয়ে কিছু জানানো হচ্ছে না। আমরা অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। রোববার আমরা আপিল বিভাগে যাবো। চেষ্টা করব বেগম খালেদা জিয়ার জামিন কারানোর জন্য।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি কী কারণে অসুস্থ এবং কতটা অসুস্থ তা বলা হয়নি। তার অসুস্থতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করার অনুমতি পেলে বোঝা যাবে তিনি কতটা অসুস্থ।
গত বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও হাজির করা হয়নি। ওই দিন কাস্টডি পরোয়ানা জেলখানা থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, খালেদা জিয়া অসুস্থ। ওই দিন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বুধবার মামলার তারিখ ধার্য ছিল। খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়নি।আদালতের পরোয়ানার ফিরতি কাগজ দেখেছেন উল্লেখ করে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমরা ওই কাগজে দেখেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। সেখানে বলা হয়েছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে আনা হয়নি। যেহেতু তিনি অসুস্থ, সে জন্য আমরা খুবই চিন্তিত। কারণ আমরা কিছুই জানতে পারছি না। উনারাও পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কী রোগে ভুগছেন, কেন তাকে আদালতে আনা হলো না- সরকারের পক্ষ থেকে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। আদালত এ মামলার আগামী তারিখ ধার্য করেছে ৫ এপ্রিল। এ দিকে গত বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার সাথে দেখা করতে পারেননি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় খালেদা জিয়ার সাথে মহাসচিবের সাক্ষাতের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই কারাগারের জেলার বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিবকে ফোন করে অসুস্থতার কথা জানিয়ে সাক্ষাৎ স্থগিতের কথা জানান। বেগম খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর