স্পোর্টস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বল ট্যাম্পারিং চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে শনিবার। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট সেদিনই দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) তদন্তে এ দুজনের সাথে উঠে আসে সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের নামও। বুধবারই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএ। সেখানে বড় শাস্তিই দেয়া হয়েছে এই তিনজনকে। তবে ট্যাম্পারিং করার চেষ্টা করে নিজেদের পাশাপাশি বোর্ডেরও দুর্দিন টেনে এনেছেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা। দলটির সিরিজের টাইটেল স্পন্সর অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ‘মেগ্যালান’ চুক্তিবাতিল করেছে। এছাড়া এই তিন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত স্পন্সরও হারিয়েছেন।
হঠাৎ চুক্তি বাতিল করার কারণ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয় এই প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হামিশ ডগলাস জানিয়েছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া পুরুষ ক্রিকেট দলের নেতৃত্বের করা একটি ষড়যন্ত্র আমাদের মূল্যবোধের সাথে এতটাই অসামঞ্জস্যপূর্ণ যে চলমান চুক্তি বাতিল না করে উপায় ছিল না।’
এছাড়া বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্যানিটেরিয়াম’ স্মিথের সাথে তাদের আকর্ষনীয় চুক্তি বাতিল করেছে। কমনওয়েলথ ব্যাংকও তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্মিথকে।
অন্যদিকে সিএ ঘোষণা দিয়েছে কখনোই তারা ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের জন্য বিবেচনা করবে না। মাঠের বাইরেও সবচেয়ে বড় আঘাতটা এই বাঁহাতি ওপেনারের উপর দিয়েই গেছে। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এলজি’ চুক্তি বাতিল করেছে তার সাথে। খেলার পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাসিকস’ ও বাতিল করেছে চুক্তি। এই প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি থেকে সরিয়ে দিয়েছে ব্যানক্রফটকেও।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ