১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:০০

ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে দেয়া হবে না : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্ষমতাসীন সরকার প্রতিনিয়ত জনগণের আস্থা হারাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারা (আ.লীগ) নিজেদের জালে নিজেরাই আটকা পড়ছে তাদের এমন ভাব হয়েছে যেমন চোরাবালিতে পড়লে যেদিকেই নড়ে না কেন নিচে যেতে হবে। বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ-সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরশাদ নিজে ছিলেন একজন স্বৈরাচার, আর বর্তমানে ক্ষমতায় আছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতপ্রাপ্ত স্বৈরাচার। দুই স্বৈরাচারের অধীনে কেমন নির্বাচন হবে তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য সকল কিছুইতে সরকারের সংবিধানের দোহাই দেয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় বলে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হতে হবে, সংবিধান মোতাবেক দেশ পরিচালনা করতে হবে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন সংবিধান কি পড়ে বলেন না নাকি না পড়ে বলেন? সংবিধানের মৌলিক অধিকার আইনের শাসন জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধানের মৌলিক স্টাকচার ভেঙে দিয়ে সংবিধানের কথা বলতে আপনাদের লজ্জা করা উচিৎ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে উস্কে দিচ্ছে যাতে তারা ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে পারে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে আবারো একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করতে পারে। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, সরকারের কোনো উস্কানিতে কান দেয়া যাবে না। গণতন্ত্রের পথ শান্তির পথ। আমরা সে পথেই আছি থাকবো। নিজেরা উত্তেজিত হয়ে কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে দেয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, সরকার চাইবে বিএনপিকে উস্কানি দিয়ে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে, যাতে তারা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাহিরে রেখে নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু সরকারের এ ষড়যন্ত্র কখনও সফল হবে না। আমির খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১/১১ সরকারের সময় তাকে গ্রেপ্তারে কাদের অবদান ছিলো তা জানতে পেরেছেন। তাদের বিচার করবেন। এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকার তো আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। তাহলে যারা সেই সরকারে কাজের বৈধতা দিয়েছে তাদের আগে বিচার হওয়া উচিৎ।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ নির্বাচনের  প্রস্তুতি নিয়ে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ভবিষ্যতেও তারা জেগে উঠবে সময় মত। সব অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নির্যাতনের জবাব দিবে। সংগঠনের উপদেষ্টা এম এ বাশারের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ।

দৈনিকদেশজনতা/ এফ আর

প্রকাশ :মার্চ ২৮, ২০১৮ ২:৫১ অপরাহ্ণ