স্পোর্টস ডেস্ক:
কেপটাউন টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং কাণ্ডে বিশ্বজুড়ে চলছে নিন্দার ঝড়। তীব্র সমালোচনা করছেন ক্রিকেট কিংবদন্তিরাও। সেই পথেই হাঁটলেন অজি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। গিলক্রিস্ট বলেন, ‘আমি সত্যি খুব দুঃখিত, স্তব্ধ। মনে হতে পারে আমি বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি, কিন্তু এ বিষয়ে আমি আসলেই আবেগপ্রবণ। এটা অবশ্যই ক্রিকেটে বেআইনি এবং আমাদের জাতীয় দলের অধিনায়ক ও জাতীয় দল স্বীকার করেছে তারা আগে পরিকল্পনা করে একসঙ্গে বসেছে, তারপর প্রতারণা করার একটা উপায় খুঁজে বের করেছে।’
এমন ঘটনা ক্রিকেটের পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলেছে বলেও অভিমত গিলক্রিস্টের। তিনি বলেন, ‘এটা অন্য ক্ষেত্রকেও কলুষিত করবে। সবাই এখন অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলবে। আমাদের অনেক গৌরবের স্থান অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এখন সবার হাসির পাত্র। মানুষ এখন আমাদের আগের অনেক কীর্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলবে, সন্দেহ করবে।’
ঘটনার সূত্রপাত টেস্টের তৃতীয় দিনে। শনিবার (২৪মার্চ ) তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা চলাকালীন দুইটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যার একটিতে দেখা যায় ক্যামেরুন পকেট থেকে হলুদ জাতীয় কিছু একটি বের করে বলের সঙ্গে তা ঘষে আবার পকেটে রেখে দিচ্ছেন। এরপর অন্য ভিডিও ফুটেছে দেখা যায় তার প্যান্টের সামনের অংশের দৃশ্য। প্যান্টে ফিতা বাঁধার নাম করে পকেট থেকে সেই হলুদ বস্তুটি প্যান্টের ভেতর ঠুকিয়ে নিচ্ছেন।
এমন ঘটনার পর দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার নাইজেল লং ও রিচার্ড ইলিংওর্থের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের পকেট থেকে কালো রঙের রুমাল বের করে কিছু একটা বলছিলেন ক্যামেরুন বেনক্রাফট। এ সময় তার পাশে ছিলেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। ক্যামেরুন বেনক্রাফটের বল ট্যাম্পারিংয়ের দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে। পরে সংবাদ সম্মেলনে অপরাধ স্বীকার করে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানান, দলীয় সিদ্ধান্তে বল টেম্পারিং করা হয়েছে। ঘটনায় নেপথ্যের কারণ বলতে গিয়ে স্মিথ জানান, খুব বেশি মরিয়া হওয়াতেই প্রতারণার পথে হেঁটেছে অস্ট্রেলিয়া দল!
উল্লেখ্য, টেম্পারিংয়ের ঘটনায় কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান তৃতীয় টেস্টের মাঝপথেই অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি