নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে বরিশালের হিজলা উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই গ্রপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহাবউদ্দিন পন্ডিত ও উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য জসিম আহত হয়েছেন।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, হিজলায় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় এমপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোলায়মান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজাদ একটি পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছেন।
অপরদিকে অন্য একটি পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সোলায়মান হোসেন শান্ত ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা।
এরপরই উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ পৃথকভাবে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ তাদের বাধা দেয়। আমিরের পক্ষাবলম্বন করে তর্কে লিপ্ত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহাবউদ্দিন পন্ডিত।
এ সময় শহাবউদ্দিন পন্ডিত ও ছাত্রলীগ সদস্য জসিম উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপ। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ মিনারে রাখা সব ফুল তছনছ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হিজলা থানা পুলিশের ওসি মো. মাকসুদুর রহমান জানান, ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। এ সময় ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ